আবার একবার হিন্দী ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার হিন্দী দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশে একটা সাধারণ ভাষা থাকা উচিত। একমাত্র কোনও ভাষা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে, তা হল হিন্দী। কিন্তু ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গিয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬.৩৭ শতাংশ হিন্দীকে মাতৃভাষা বলে মনে করেন না। অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে ছ’জনই হিন্দিকে নিজের ভাষা বলে ভাবতে পারেন না।
সেন্সাসে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৫২ কোটি বা মোট জনসংখ্যার ৪৩.৬৩ শতাংশ হিন্দিতে কথা বলেন। তারপরে আছে বাংলা ও মারাঠি ভাষা। বাংলায় কথা বলেন দেশের ৮.০৩ শতাংশ মানুষ। মারাঠিতে কথা বলেন ৬.৮৬ শতাংশ, তেলুগুতে ৬.৭ শতাংশ ও তামিলে ৫.৭ শতাংশ। সংবিধানের অষ্টম তফসিলে ২২ টি স্বীকৃত ভাষার কথা বলা হয়েছে। ভাষাগুলি হল, অসমিয়া, বাংলা, বোড়ো, ডোগরি, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি, মৈথিলী, মালয়ালাম, মণিপুরি, মারাঠি, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, সিন্ধি, তামিল, তেলুগু ও উর্দু।
২০১১ সালের সেন্সাসের তথ্য অনুযায়ী এই ২২টি ভাষার কোনও না কোনওটি ৯৬.৭১ শতাংশ ভারতীয়ের মাতৃভাষা। ৩.২৯ শতাংশ ভারতীয় তফসিলভুক্ত ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। তবে হিন্দী ভাষাকে এইভাবে চাপিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিতকে ভালো চোখে দেখছেন না দেশের ওয়াকিবহাল মহল।