হাসপাতাল থেকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়ে গেছে। তাই শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে শ্মশানে। সমস্ত প্রস্তুতি সারা। চলে এল অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই শোরগোল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে ফুরকানকে বের করার সময় আচমকা নড়ে উঠতে দেখা গেল তাঁর দেহ।
মুহূর্তে বদলে গেল সেই পরিবেশ। শোকে মূহ্যমান এলাকা হয়ে উঠল আনন্দে উত্ফুল্ল। শেষকৃত্যের জোগারযন্ত্র দূরে ঠেলে অবিলম্বে ফুরকানকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ছুটল তাঁর পরিবার। সেখানে গিয়ে দেখা গেল তখনও তরতাজা ছেলেটির শরীরে প্রাণ ধুকপুক করছে। সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হল অক্সিজেন সাপোর্ট। তবে ভেন্টিলেটর না-থাকায় ফুরকানকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হল। বর্তমানে ইন্দিরা নগরের হাসপাতালে ভর্তি ছেলেটি।
২১ জুন সুলতানপুরে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছিল ফুরকানের। তার দাদা মহম্মদ ইরফানের অভিযোগ, “হাসপাতালে ওকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় আর বিরাট চার্জ নিতে থাকে ওরা। আমরা ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। যখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালাম আমাদের আর টাকা নেই, তখন ওরা সোমবার ফুরকানকে মৃত বলে ঘোষণা করল। ওকে সৎকার করার কয়েক মুহূর্ত আগেই পরিবারের একজন লক্ষ করে ফুরকানের শ্বাস চলছে। কয়েকজন ওর হাত-পা নড়তেও দেখলেন। তখনই ওকে হাসপাতালে ভর্তি করি।”
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন লখনইয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. নরেন্দ্র আগরওয়াল। তবে এই ঘটনা যে যোগীরাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘটনা আবার লোক সম্মুখে এনে দিল, তা পরিষ্কার।