৫৪ হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে বুলেট ট্রেনের লাইন পাতা হবে মুম্বইতে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। ম্যানগ্রোভ গাছগুলি মুম্বইকে ঝড়, ঢেউ ও বন্যা থেকে রক্ষা করে। তা সত্ত্বেও সেই গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এরপর শহর ডুবে গেলে মুম্বইবাসীদের কি আমেদাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে? রেকর্ড বৃষ্টিতে যখন বাণিজ্যনগরী মুম্বই কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে, তখন এইভাবেই মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা।
মিলিন্দ এদিন আরও বলেন যে, পালঘর জেলায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সোমবার ওই জেলায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাতে জেলার এক বিরাট অংশ এখন জলের তলায়। সরকার জানিয়েছে, একটি গাছ কেটে ফেললে তার বদলে লাগানো হবে পাঁচটি করে গাছ। তাতে লাভ হবে বলে মনে করেন না মিলিন্দ দেওরা। তিনি টুইট করেছেন, আমি মহারাষ্ট্রের সিএমও-র কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সরকারের এই সিদ্ধান্তে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা হোক। মহারাষ্ট্র জুড়ে গাছ পুঁতলেও মুম্বই রক্ষা পাবে না।
সম্প্রতি জানা যায়, হাই স্পিড রেলের করিডোর নির্মাণের জন্য মহারাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ কাটা পড়বে। ম্যানগ্রোভ অরণ্য উপকূল অঞ্চলকে সুনামি ও বন্যার হাত থেকে রক্ষা করে। যেখানে ওই গাছ কেটে ফেলা হয়, সেখানে ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বাড়ে। গত সোমবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানা যায়, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের করিডোর নির্মাণের জন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হবে। তারপরেই শুরু হয় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা।