সরকারের তরফ থেকে পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে, অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে একথা জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত মন্দিরের ট্রাস্টিগুলি যদি একত্রিত হয় তাহলে পুরোহিত ভাতা দেওয়া যেতে পারে। যদিও বিষয়টি তাঁর দফতরের নয়। তৃণমূলের বিধায়ক অধ্যাপক জ্যোতির্ময় কর বলেন, “আমাদের এখানে অনেক মন্দির আছে। এক ছাতার তলায় যদি এই ট্রাস্টিগুলিকে নিয়ে আসা যায় এবং ওয়াকফ বোর্ডের ধাঁচে যদি করা যায় তাহলে সুবিধে হবে”। এর জবাবেই কলকাতার মেয়র একথা জানান।
তারকেশ্বর এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন জ্যোতির্ময় কর। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দক্ষিণেশ্বরে পথচারীদের সুবিধার্থে স্কাইওয়াক গড়তে খরচ হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। এমন স্কাইওয়াক দেশে প্রথম। ভোগ ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণেশ্বরের নদীঘাট উন্নয়নের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে। সারদা মা যেখানে স্নান করতেন সেই ঘাটও সাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি তারকেশ্বর মন্দির কমপ্লেক্সের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। দুধপুকুরের সংস্কার করা হয়েছে। ফুটপাথ ও আলোক সজ্জার জন্য ৪৯ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর, কঙ্কালীতলা, তারাপীঠ, পাথরচাপুড়ি নতুন করে সাজানো হয়েছে। আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি”। কালীঘাট প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সেখানে একটি স্কাইওয়াক হবে। ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের অসংখ্য মন্দির ও মাজার সংস্কার করা হয়েছে। কারণ এর একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলা ধর্মনিরপেক্ষতার পীঠস্থান। আমরা এই বাংলার ঐক্য সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছি”।
