গত পরশু খবর পাওয়া গিয়েছিল, মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতাকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিল মাওবাদীরা। সেখানে বলা হয়, ওই নেতাকে অবিলম্বে দল ছেড়ে দিতে। যদিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশের তদন্তকারী দল। এবার সমাজবাদী পার্টির এক নেতাকে অপহরণ করে হত্যা করার অভিযোগ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় ঘটনাটি ঘটে ছত্তিসগড়ের বিজাপুরে। সন্তোষ পুনেম নামে ওই নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা মারিমাল্লা গ্রাম থেকে অপহরণ করা হয় সমাজবাদী পার্টি নেতা সন্তোষ পুনেমকে। অ্যান্টি নক্সাল অপারেশনস-এর ডিআইজি সুন্দেরাজ পি জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও মারিমাল্লা গ্রামে কন্ট্রাক্টর ছিলেন সন্তোষ পুনেম। কনস্ট্রাকশন সাইট থেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। বুধবার সকালে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “এই ঘটনা ঘটেছে পুলিশ স্টেশন থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে। আমরা পুলিশ দলকে পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে আরও কিছু জানা যায় কিনা তার চেষ্টা চলছে।”
ছত্তিসগড়ের হিংসা কবলিত বিজাপুর জেলায় এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মারিমাল্লার বাসিন্দা সন্তোষ পুনেম সমাজবাদী পার্টির টিকিটে গত এই লোকসভা নির্বাচনে বিজাপুর থেকে লড়েছিলেন। বিজাপুরের সমাজবাদী পার্টির ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদেও তিনি ছিলেন।
মে মাসেও ওই রাজ্যে পাঁচবার হামলা চালায় মাওবাদীরা। ১ মে ছত্তীসগড় সীমান্ত লাগোয়া মহারাষ্টের গড়চিরৌলিতে আইআইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে যায় গড়চিরৌলি পুলিশের একটি গাড়ি। চালক ছাড়াও তাতে ছিলেন সি-৬০ ‘কুইক রেসপন্স টিম’-এর ১৫ জন সদস্য। ওই দিন সকালেই কুরখেড়ায় ১৩৬ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির জায়গায় ঠিকাদারদের ২৭টি গাড়ি এবং যন্ত্রে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই টহল দিতে বেরিয়েছিল সি-৬০ ‘কুইক রেসপন্স টিম’। স্বাভাবিকভাবেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদী সমস্যা আবার মাথাচাড়া দেওয়ায় চিন্তিত রাজ্য সরকার।