প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার প্রথম দিনেই আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দিনেই খারাপ খবর দিয়ে শুরু হল তাঁর যাত্রা। বিগত অর্থবর্ষের শেষ ৩ মাসে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫.৮শতাংশে। বেকারত্বের হারও পৌঁছেছে গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ সীমায়। সবমিলিয়ে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা হাতছাড়া হল মোদী সরকারের।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি ঠেকেছে ৫.৮ শতাংশে। যা গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি-র হার ৬.৮%। গত আর্থিক বছরে তা ছিল ৭.২ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থ বর্ষের পর এটাই সর্বনিম্ন আর্থিক বৃদ্ধি। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে জিডিপি হার ছিল ৬.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি ৬.৪ শতাংশ। এক ফলে দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক দেশের নিরিখে নয়াদিল্লিকে টেক্কা দিল বেজিং।
শ্রম পরিসংখ্যানও অস্বস্তি বাড়িয়েছে মোদী সরকারের। শ্রম মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী,২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.১% যা গত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি। ৭.৮ শতাংশ শহুরে যুবক বেকার। গ্রামে তা ৫.৩ শতাংশ। পুরুষ বেকারের হার ৬.২ শতাংশ। মহিলা বেকারের হার ৫.৭%।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট প্রচারে অর্থনীতির হাতে গোনা যে কয়েকটি প্রসঙ্গ মোদীরা তুলেছেন, সেগুলিকে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে এই পরিসংখ্যান। যেমন, আলোচ্য ত্রৈমাসিকে চীনের কাছে হাতছাড়া হয়েছে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা। সামনে আসছে ৬.১ শতাংশ বেকারত্ব। মানতে হচ্ছে চাহিদার অভাবে অর্থনীতি শুকিয়ে যাওয়ার কথা। হালে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রথীন রায় বলেছিলেন, নোটবন্দীর পর থেকেই এই সমস্যা জমাট বেঁধেছে অর্থনীতিতে।
‘