দেশর নানা প্রান্ত থেকে কৃষক আত্মহত্যার কথা বারবার সামনে এসেছে। তার মধ্যেই অনেকেই তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন মোদী সরকারকে। এইবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ মজুমদার। শুধু তিনি নন এর আগে রাধিকা মজুমদার ও প্রভা ডেকা নামে আরও দুই কর্মচারী বেছে নিয়েছিলেন আত্মহত্যার পথ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজিৎ কাজ করতেন আসামের হিন্দুস্থান পেপার কর্পোরেশনের নাগাঁও মিলে। তিনি ছিলেন ইউটিলিটি ও ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজারের পদে। কিন্তু সেই মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহুদিন। ফলে বেতন পান না প্রায় ২৭ মাস। আর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে তিনি সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মোদী সরকারকে। জানা যায় গত ২৯ এপ্রিলের দু-তিন দিন আগে থেকেই বিশ্বজিৎ মজুমদার কারও ফোন ধরছিলেন না। অবশেষে ওই দিন, তাঁর সহকর্মীরা কোয়াটার থেকে তাঁর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন।
আসামের এই ইঞ্জিনিয়ার আত্মহত্যার আগে ফ্রিজের ওপরে লিখে দিয়ে গেলেন তাঁর সুইসাইড নোট। তাতে লিখলেন, ‘আই কুইট। ভারত সরকার আমার মৃত্যুর জন্যে দায়ী।’ জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ২৭ মাস ধরে বেতন না হওয়ায় প্রবল অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর সেভিংসের টাকাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। কিন্তু দায়ী করে গেলেন, কেন্দ্রে থাকা মোদী সরকারকে।