গতকাল সম্পন্ন হয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। ভোট দখল করতে নানারকম চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কোথাও বুথ দখলের চেষ্টা আবার কোথাও ইভিএমে আতর লাগিয়ে রাখা আবার কোথাও বা ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা। হার নিশ্চিত বুঝেই যে বিজেপি এই সন্ত্রাসের আবহ জারি রাখতে চাইছে তা বলাই বাহুল্য। তবে রাজ্য পুলিশ কড়া হাতে দমন করেছে বিজেপির সমস্ত সন্ত্রাসকে। ভোট মিটলেও মেটেনি বিজেপির হিংসা। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ।
ভোট মিটতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালনা। গতকাল গভীর রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ লাঠি ও ইঁট নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। ঘটনাটি কালনার নাদনঘাট নৌ পাড়া গ্রামের। ঘটনায় একজন মহিলা ও দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। আহত তিন তৃণমূল কর্মীকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব আততায়ীদের গ্রেফতার করা হবে।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বীরভূমও। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে কাটা গেল বিজেপিরই পোলিং এজেন্টের আঙুল। আজ সকালে বাজারে যাওয়ার সময়ে নিজেদের মধ্যেই কোন্দলে জড়িয়ে পরেন গেরুয়া কর্মীরা। তখনই এক পক্ষ কেটে নেয় বিজেপির ওই পোলিং এজেন্টের আঙুল। তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যদিকে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার কুখুটিয়া গ্রামে আজ সকালে বিজেপি কার্যালয়ের ভিতর থেকে তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। এ রপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে কার্যালয়ের পাশে প্রথমে বস্তা বন্দি বোমা গুলি দেখতে পাওয়া যায়। তারপর এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।