অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অরাজনৈতিক সাক্ষাৎকারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘মমতাদি তো এখনও আমায় মিষ্টি-কুর্তা পাঠায়’। বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়িতে প্রচার সভা করতে এসে মোদীর সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন তৃণমূলনেত্রী। নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘কুর্তা, মিষ্টি তো অনেককেই পাঠাই। এতে দোষের কী আছে? কিন্তু এটা নিয়েও রাজনীতি করছেন মোদী’।
এদিন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচার সভা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আক্রমণের সুর সপ্তমে চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। এটা আমার লড়াই। দেখে নেব আমি।’ সেইসঙ্গে বিজেপি যে টাকা, মোবাইল দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সব নজর রাখছি আমি।’ শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমি বলে উল্লেখ করাকেও বেঁধেন মমতা। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী কোনও জনসভায় এলে সেখানকার সম্পর্কে কোনও হোমওয়ার্ক করে আসেন না। মোদি জানেনই না শান্তিনিকেতন আসলে রবীন্দ্রনাথের কর্মভূমি’।
ধর্মের বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে মমতার কড়া মন্তব্য, ‘মোদীবাবুরা শ্মশানঘাটে মানুষ পাঠান।’ গতবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭৩টি আসন জিতেছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ইঙ্গিত, ‘এবার মায়াবতী-অখিলেশ জোটের কাছে হেরে ১৩টি আসনও জিতবে না বিজেপি’। শান্তিনিকেতনের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, ‘গুরুদেবের শান্তিনিকেতনে অশান্তি করছে গুন্ডারা’। এদিন সেই অভিযোগের জবাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘শান্তিনিকেতনে গুন্ডা পেলেন কোথা থেকে? বসন্তের কোকিল, ভোট চাইতে আসেন, আবার বড় বড় কথা!’
‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের বিজ্ঞাপণে মোদীর মুখ, কর্মসংস্থান, নোটবন্দী, রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সাহায্য না করা-সহ একাধিক বিষয়ে এদিন মোদীকে বিঁধেছেন মমতা।