দিল্লীতে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বাংলাতেও তৃণমূলই জিতবে। কেউ আটকাতে পারবে না। বুধবার শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, ‘যতই দফা বাড়াও, যতই সেন্ট্রাল ফোর্স পাঠাও, পুরো ভারত সরকার নিয়ে ঘুরে বেড়াও, বাংলায় আমরা জিতবই-জিতবই-জিতবই’।
এদিন সভার শুরু থেকেই মমতা ছিলেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। বিজেপির তোলা অভিযোগের ধরে ধরে জবাব দেন মমতা। অমিত শাহর তোলা রিগিংয়ের অভিযোগের জবাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে মমতা বলেন, ‘ভোটটা ফোর্স দেবে না। ভোটটা দেবে মানুষ। ওরা বুঝতে পারবে’। সঙ্গে প্রত্যয়ের সুরে বলেন, ‘যে দশটা আসনে ভোট হয়েছে, সবকটাতে জিতব। ওরা গোল্লা পাবে। রসগোল্লা’।
নোটবন্দি, মূল্যবৃদ্ধি- সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক শানান মমতা। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনার ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘আজ পর্যন্ত রাজ্যের নাম বাংলা করতে পারল না কেন্দ্রের মোদী সরকার। এদের কি ভোট দেওয়া উচিত? আসলে বাংলার উপর খুব রাগ এদের। শুধু ভোট এলে এরা ভোট চাইতে আসে। বাংলায় এরা কিছু দেয় না, ভবিষ্যতেও কিছু দেবে না’। মমতার কথায়, ‘বাংলায় বন্যা হলে কেউ আসে না। কোনও বিজেপি নেতার সেখানে দেখা পাওয়া যায় না। কি বাংলা, আর কি কেন্দ্র- কোনও নেতা তখন একবার উঁকিও দেয় না। এখন ভোট এসেছে, তাই ঘনঘন আসছে বাংলায়। মমতা বলেন, বাংলায় এসে ভোট চাইতে লজ্জা পায় না বিজেপির’!
গত সাত বছরে বাংলায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘নদিয়ার কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী বা প্রেসিডেন্সি কলেজের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগরে স্টেডিয়াম করেছি। জেলায় জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে। সাত বছরে ২৮টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এছাড়া ইস্কনে টাউনশিপ হচ্ছে। আইটি হাব হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমেছে’।