সবেমাত্র প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে। বাকি এখনও ছ’দফা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন শেষের আগেই, বিজেপি ‘নিশ্চিত যে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসছে তারাই! ‘ফির একবার মোদী সরকার’৷ বিভিন্ন সভায় এই স্লোগান দিয়ে ঝড় তুলতে শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এ কি শুধুই আত্মবিশ্বাস, নাকি ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের মতো ইভিএম কারচুপি বা অন্য কোনও উপায়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছেন মোদী-শাহরা?
প্রসঙ্গত, ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা৷ কিন্তু ভোটের ফল তাদের পক্ষে যাবে ধরে নিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের কাজের রূপরেখা ঠিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আমলাদের৷ আর এই নির্দেশ এসেছে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে৷ হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট, মোদী নীতি আয়োগ এবং আমলাদের নির্দেশ দিয়েছেন পরবর্তী সরকারের ১০০ দিনের কাজের অ্যাজেন্ডা ঠিক করতে হবে৷ তেল-গ্যাস, পরিকাঠামো এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নীতি বা পরিকল্পনার কথা ভাবতে হবে৷
তবে মোদী যদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরেন তাহলে বেশ কিছু আমলাদের বদলির মুখে পড়তে হতে পারে৷ রয়টার্সের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩ মে’র পর মোদী ক্ষমতায় এলে আমলা স্তরে অনেক পরিবর্তন করা হবে৷ পিএমও অফিসের কম করেও আট জন আমলাকে হয় বদলি করা হবে নতুবা তাদের আগাম অবসর নিতে বলা হতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৫ জন বরিষ্ঠ আমলা রয়েছেন৷ তাদেরই কয়েকজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অনেক আমলা বদলি হয়ে রাজ্যে ফিরে যেতে চাইছেন৷ অর্থাৎ তারাও প্রধানমন্ত্রীর অফিসে থাকতে চান না৷
উল্লেখ্য, দেশের মোট ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে সাত দফায় ভোট হবে৷ প্রথম দফায় ৯১টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে৷ দ্বিতীয়দফায় ভোট হবে ১৮ এপ্রিল৷ পরের দফাগুলি হল ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬মে, ১২ মে এবং ১৯ মে৷ কিন্তু এখন জাতীয় রাজনীতির অন্দরে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে যে, কোন অঙ্কে বিজেপি এই ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখছে যে ‘ফির একবার মোদী সরকার’? বিজেপির এই আত্মবিশ্বাস কি তবে ফের ইভিএম কারচুপিরই ইঙ্গিত? নাকি কালো টাকা ছড়িয়েই তাদের জেতা নিশ্চিত করে ফেলেছেন মোদী-শাহরা? মিলছে না উত্তর।