গতকাল ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নিখুঁত বোলিং এবং জনি বেয়ারস্টোর (২৮ বলে ৪৮) বিধ্বংসী ব্যাটিং পাঁচ উইকেটে জেতাল হায়দরাবাদকে। দিল্লীকে আট উইকেটে ১২৯ রানে আটকে রেখে নয় বল বাকি থাকতে জিতে যান ডেভিড ওয়ার্নাররা। ৪ ম্যাচে তিনটে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের একে চলে এল সানরাইজার্স।
কোটলার পিচে অবশ্য ব্যাট করা খুব সহজ ছিল না। বল সে ভাবে ব্যাটে আসেনি। যে কারণে বেয়ারস্টোর ওই ইনিংসের জন্য তাঁকেই ম্যাচের সেরা বাছা হয়েছে। হায়দরাবাদ পেস আক্রমণে এমন বোলাররা আছেন, যাঁদের প্রধান অস্ত্র হল সুইং, নাকল বল, মন্থর ডেলিভারি। যেমন ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কল বা সন্দীপ শর্মা। এর সঙ্গে ছিলেন দুই স্পিনার— আফগানিস্তানের রশিদ খান এবং মহম্মদ নবি। যে ধরনের পিচে এই বোলাররা বল করতে পছন্দ করেন, ঠিক সেটাই কোটলায় পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
তবে ব্যাট করতে নেমে রান কোনও সমস্যাই হয়নি হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ও ডেভিড ওয়ার্নারের। পাওয়ার প্লে-র ছ’ওভারে স্কোর ছিল ৬২-০। বেয়ারস্টো ২৮ বলে করে যান ৪৮ রান। যা সাজানো ছিল ৯টি চার ও ১টি ছক্কায়। তবে ওয়ার্নার (১০), বিজয় শঙ্কর (১৬), মণীশ পাণ্ডে (১০) ও দীপক হুডা (১০) রান না পাওয়ায় কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মহম্মদ নবি (৯ বলে ১৭ নট আউট) ও ইউসুফ পাঠান (১১ বলে ৯ নট আউট) সহজেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। দিল্লীর সেরা বোলার কাগিসো রাবাডা (১-৩২) তেমন কিছু করতে পারেননি।
এমনিতে ব্যাট হাতে ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টোই সব ম্যাচে হায়দরাবাদের বড় রানের ভিত গড়ে দিচ্ছেন। এ দিন যেন উলটপুরাণ। বোলাররাই ঠিক করে দিল ম্যাচের ভাগ্য। ভুবনেশ্বর কুমার ও দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান ও মহম্মদ নবির দাপটে মাথাই তুলতে পারল না দিল্লী। প্রথম ধাক্কা ভুবনেশ্বর কুমারের। আগের তিন ম্যাচে মোটামুটি বোলিং করলেও কোনও উইকেট পাননি। এ দিন পৃথ্বীশ-কে বোল্ড করেই আইপিএল বারোতে উইকেট শিকারের হালখাতা খুলল ভুবির। ৪ ওভারে সব মিলিয়ে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।