৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে চারটি ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি। উদ্দেশ্যে, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্রিগেড ভরানো। কিন্তু বৃথা গেল এত আয়োজন। ট্রেন পুরো ভর্তি হওয়া তো দূরের কথা, চারটি ট্রেনের একটা কামরাও ভরল না। এমনকী ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী পিছিয়ে দিয়েও লাভ হয়নি কোনও।
ঝাড়গ্রাম, লালগোলা, পুরুলিয়া, রামপুরহাট – ব্রিগেড ভরাতে এই চারটি জায়গা থেকে বিশেষ ট্রেন ছেড়েছে বিজেপি। কিন্তু কোনও ট্রেনের কামরাই পুরোপুরি ভরেনি। কোনও কামরায় দু’জন কোনও কামরায় চার জন বিজেপি কর্মীকে দেখা গেছে। কেউ কেউ তো চার জনের সিটে শুয়ে পড়েছেন, কেউ সামনের সিটে পা তুলে হাওয়া খেতে খেতে এসেছেন।
ভোর চারটের সময় এই চারটি বিশেষ ট্রেন হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় লোক হয়নি দেখে ট্রেনের সময়সূচী পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ভরেনি ট্রেন। শেষে খালি কামরা নিয়েই পৌনে সাতটা নাগাদ ট্রেন হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জানা গেছে, চারটি ট্রেন মিলিয়ে সাকুল্যে ১৫০ কর্মী-সমর্থক ছিলেন ট্রেনে।
বিজেপি নেতারা যতই দাবি করুন, রেকর্ড ভিড়ের ব্রিগেড করবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্যরকম। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে মোদী আসার আগেই ব্রিগেড ছেড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার বিজেপি কর্মী। যাদের আনতে ট্রেন পাঠানো হয়েছিল, তারাও অনুপস্থিত। এই ঘটনা বিজেপি নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট।
