‘এত বছর রাজনীতি করার পরেও যখন দেশপ্রেমের প্রমান চাওয়া হয়, তখন মনে হয় রাজনীতিতে না এলেই ভালো হত’। বরানগরের একটি সভা থেকে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এভাবেই আক্ষেপ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপির ধর্মের রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যের গায়ে আগুন লাগায়, বিদ্বেষ তৈরি করে মানুষে মানুষে, তারা আদতে কোনও ধর্মেরই মানুষ নয়।’ মমতার কথায়, ‘আজ যখন ধর্মের নামে একজন আর একজনের গায়ে আগুন লাগায়, বিদ্বেষ ছড়ায়, কারোর ধর্ম-বর্ণ বা পদবি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন তার চেয়ে লজ্জার আর কিছু হয় না।’

কিছুদিন আগে পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল মমতাকে। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা এদিন প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কার পদবি কী, কে কোন ধর্মে বিশ্বাসী তা অন্য কেউ ঠিক করে দেওয়ার কে? কে কোন ধর্মের, কী খায়, কী পরবে তা নির্ধারণ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এত বছর ধরে দেশে থাকার পরও দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে বলা হচ্ছে।’ উদ্বিগ্ন মমতার প্রশ্ন, ‘যুগ যুগ ধরে যে সর্বধর্ম সহিষ্ণুতার কথা বলে এসেছেন ভারতের মনীষিরা, সেই একতা, সহিষ্ণুতা আগামীদিনে লোপ পাবে না তো?’ এরপরেই জনতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘আসুন মানুষকে ভালবাসি, এই বাংলাই পারে পথ দেখাতে।’