বিজেপি নেতৃত্ব ও সমর্থকরা যা যা করেছেন, এখনও পর্যন্ত সে সব মেনে নিয়েছি। এবার বুঝিয়ে দেব একই ভাবে আমি সেটাকে ফিরিয়ে দিতে পারি। আর সেটা আমি করেও দেখাব। ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন দলের বিক্ষুব্ধ সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপিকে জুতসই জবাব দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি বলেও জানিয়ে দিলেন বিহারীবাবু।
তাঁর লোকসভা নির্বাচনী কেন্দ্র বিহারের পাটনা সাহিবে বিজেপি এবার টিকিট দেয়নি শত্রুঘ্নকে। বদলে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। তারই প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ শনিবার তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘নিউটনের তৃতীয় সূত্রটা মনে করুন। প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে। আপনারা আর আপনাদের লোকজন (বিজেপি নেতৃত্ব ও সমর্থকরা) যা যা করেছেন, এখনও পর্যন্ত সে সব মেনে নিয়েছি। এবার বুঝিয়ে দেব একই ভাবে আমি সেটাকে ফিরিয়ে দিতে পারি। আর সেটা আমি করেও দেখাব।’
কয়েকটি টুইটে ফের মোদী-শাহের নেতৃত্বেরও কড়া সমালোচনা করেছেন শত্রুঘ্ন। কেন লালকৃষ্ণ আডবানীর মতো প্রবীণ অভিজ্ঞ নেতাকে রাজনীতি থেকে কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হল, সেই প্রশ্নটাও উস্কে দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আডবানীর মতো এক জন নেতাকে সরিয়ে তাঁর কেন্দ্রে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেই বিজেপি সভাপতি আডবানীর মতো সর্বমান্য, সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতা নন। ভাবমূর্তি বা ব্যক্তিত্ব, কোনওটাতেই আডবানীর সঙ্গে মানানসই নন বিজেপি সভাপতি। আডবানী আমাদের পিতৃপ্রতিম। এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে, জোরজবরদস্তির মাধ্যমে করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ এটা মেনে নেননি।’
শত্রুঘ্নর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জুড়ে দেওয়ার পর অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ অন্য বিজেপি নেতারাও তাঁদের টুইটার হ্যান্ডেলে নামের আগে ওই শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন।’’ উল্লেখ্য, শত্রুঘ্ন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জোড়েননি।