তাঁরও লক্ষ্য এবারের লোকসভায় বিজেপিকে পরাস্ত করা। তাই
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের বিরুদ্ধে একের ফর্মুলা মেনে নিয়ে এক কালের প্রবল প্রতিপক্ষ বিএসপির সঙ্গে জোট গড়েছিলেন তিনি। সেই জোট নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বাবা মুলায়ম সিংহ যাদবের। তবে সে আপত্তিতে অখিলেশ আমল তো দেননি, বরং দেখা গেছে সপার প্রচার তালিকায় নআম নেই মুলায়মের। এবার দেখা গেল ভোটে জেতার জন্য সেই বাবাকেই ভরসা করলেন অখিলেশ যাদব। গত বার ভোটে মুলায়মের জিতে আসা আজমগড় থেকেই এবার প্রার্থী হচ্ছেন অখিলেশ। এর আগে কনৌজ থেকে লাগাতার তিনবার জয়ী হয়েছেন অখিলেশ। তবে এই প্রথম রাজ্যের পূর্বের কোনও আসন থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
রবিবার ৪০ জনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে সমাজবাদী পার্টি। তাতে অখিলেশের পাশাপাশি নাম রয়েছে দলের বিতর্কিত নেতা আজম খানেরও। যে রামপুর থেকে বিধায়ক ন’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি, লোকসভা নির্বাচনে সেই রামপুর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের কনৌজের আসনটি স্ত্রী ডিম্পলকে ছেড়ে দেন অখিলেশ। এ বছরও সেখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডিম্পল। এছাড়াও সপার প্রার্থীতালিকায় নাম রয়েছে অখিলেশ যাদবের দুই খুড়তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র যাদব এবং অক্ষয় যাদবেরও। এর আগে তিন তিনবার বদায়ুঁ থেকে জয়ী হয়েছেন ধর্মেন্দ্র। এ বারও ওই আসন থেকেই দাঁড়াবেন তিনি। গতবার জেতা ফিরোজাবাদ থেকে লড়বেন অক্ষয়।
২০১৪-র নির্বাচনে আজমগড় এবং মইনপুরী, এই দুই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। সেবার মোদী ঝড়ে সমস্ত বিরোধীরা খড়কুটোর মতো উড়ে গেলেও, মুসলিম ও যাদব ভোটে ভর করে আজমগড় থেকে ৬৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মুলায়ম। মইনপুরী থেকেও জয়লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আসনটি ছেড়ে দেন। এবার তাঁর জেতা আজমগড়ের সেই নিরাপদ আসনটিকেই বেছে নিয়েছেন অখিলেশ। মুলায়মকে দেওয়া হয়েছে মইনপুরী আসনটি। তবে ভেবেচিন্তেই আজমগড় আসনটি অখিলেশ বেছে নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। জানা গেছে, গত তিন দশকে মুসলিম ও যাদব প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ সেখানে জয়ী হতে পারেননি।