ভেস্তে গেল বাম-কংগ্রেস জোট। বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেসের ‘একলা চলো’র সিদ্ধান্তেই সীলমোহর দিল দিল্লীর হাইকম্যান্ড। আজ, সোমবার রাতের মধ্যেই কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে দিল্লীতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পর প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘নিজেদের সম্মান নষ্ট করে আমরা কোনও জোটে যাব না। কোন আসন থেকে কে লড়বেন আর কে লড়বেন না সেটা বামেরা ঠিক করে দিতে পারে না। আমরা এরাজ্যে নিজেদের শক্তিতে একাই লড়ব’।
কেন ভেস্তে গেল জোট প্রক্রিয়া? জানা গেছে, আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই বামেরা যে ভাবে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে অপমানিত বোধ করেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয় নিজেদের প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস নেতা রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। বীরভূম আসন থেকে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে তবে তিনি কোন দলের প্রতিনিধি সেটা বামেদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। এটাতেই আপত্তি কংগ্রেসের। তারওপর ঘোঁট তৈরি হয় রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দু’টিকে কেন্দ্র করে৷ উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ এই দুটি জেলায় হাত শিবির শক্তিশালী হলেও ১৪ সালের ভোটে জেতে সিপিএম৷ কংগ্রেসেরে প্রস্তাব মেলে ওই দুই আসন ছাড়তে নারাজ তারা৷ পরে পুরুলিয়া সহ বাম শরিকদের থেকেও বেশ কয়েকটি আসনের দাবি জানায় বিধানভবন৷ কিন্তু তাতেও বিধি বাম৷ যদিও রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ বামেদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী৷ কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি৷ এরপরেই বাংলায় ‘একলা লড়াই’য়ের পক্ষে সরব হয় প্রদেশ নেতারা৷ অপেক্ষা ছিল রাহুল-সোনিয়া গান্ধীর সিলমোহরের৷ সোমবার সকালে দিল্লীতে বসে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক৷ সেখানে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের উপস্থিতিতে বাংলায় একলা লড়াইয়ের পক্ষেই সায় দেয় হাইকম্যান্ড।
ফলে জোটে নয়, ১৯শের ভোটে একলাই লড়তে চলেছে কংগ্রেস৷ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা সাক্ষী থাকবে চতুর্মুখী লড়াইয়ের৷
