গতকাল দিনভর প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায়। তাঁর প্রতি সমর্থনে এক বিরাট কর্মী সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য নেতৃত্বরা। এই কর্মীসভায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল, আসন্ন লোকসভা ভোটে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, যেখানে মানুষ একজোট হয়ে গেছেন, সেখানে বিরোধীরা আদালতে গিয়ে কিছু করতে পারবে না। মানুষের ওপর ভরসা রয়েছে আমাদের। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে। সুতরাং নির্ভয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। মানুষ মমতাকে বলছে, তুমি এগিয়ে চলো, মানুষ তোমার সঙ্গে আছে। এবার তিনি বাংলার নেতৃত্ব দেবেন না, দেশের নেতৃত্ব দিতে হবে।’
ফিরহাদ আরও জানান, কলকাতা পুরসভার আমরা যাঁরা কাউন্সিলর আছি, তাঁরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করি। নিজেদের ওয়ার্ড থেকে কে বেশি লিড দেবে। এর পর তো পুরসভার ভোট আছে। তার আগেই এই লড়াইয়ে পরীক্ষা হয়ে যাবে। তিনি কর্মীদের বলেন, ‘মানুষের কাছে গিয়ে বলুন, সারা বছর আপনাদের পরিষেবা দিই, আজ এর প্রতিদান দিন। মানুষ মমতা মুখ্যমন্ত্রীকে ভালবাসে। তারা আপনাদের নিরাশ করবেন না। কে ভোট দিতে পারছেন না, তাঁকে বুথে নিয়ে আসুন। যিনি বাড়িতে বসে আছেন, তাঁকে বুঝিয়ে ভোট দিতে যেতে বলুন। এটাই তো কাউন্সিলরের আসল জনসংযোগ।’ পার্থ বলেন, ‘বাংলায় মমতার উন্নয়ন–রথকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে বিজেপি।’
সভায় উপস্থিত সকলেই বলেন, “আত্মসন্তুষ্টির জায়গা নেই। এবার আমাদের বড় লড়াই। ৪২–এ ৪২টি আসনই জিততে হবে। কেউ কেউ বলেন, দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের আঁতুড়ঘর। এই আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পর সুব্রত বক্সি জয়ী হন। এবার এখানে প্রার্থী হয়েছেন মালা রায়। মঞ্চ থেকে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজে নামার আবেদন জানানো হয়। দক্ষিণ কলকাতায় ৫ জন মন্ত্রী আছেন। কয়েকজন কাউন্সিলর আছেন যাঁরা মেয়র পরিষদের সদস্য। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জেলা।”
প্রার্থী মালা বলেন, “ আমি পুরসভায় বসে জানতে পারি, মমতাদি আমাকে প্রার্থী করেছেন। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সেভাবেই কাজ করব”। গতকালের কর্মীসভায় বক্তব্য পেশ করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জি, জাভেদ খান, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চ্যাটার্জি, রতন দে, চৈতালি চ্যাটার্জি প্রমুখ।