এবারের লোকসভা ভোটে অন্যতম সেরা চমক অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান। বসিরহাট ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু নুসরতের হয়ে, নাম ঘোষণার পরে সেদিন বিকালেই প্রচারে নেমেছিলেন মিমি। ব্যস্ততার মধ্যেও মিমি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতই মানুষের জন্যে কাজ করতে চান তিনি।
মিমি বলেছেন, “আজ মানুষ আমাকে চেনে। রাজনীতির মঞ্চে নেমে মানুষের জন্য কাজ করার এটাই সঠিক সময়। মানুষের জন্য যদি কাজ করতে হয়, তাহলে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? হাঁটুর ব্যথায় দাঁড়াতে পারব না, রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রচার করতে গেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে। আর আজ আমাকে বলুন, স্নিকার্স পরে রেডি আছি। ছুট্টে চলে যাব”। মিমির ব্যক্তিগত ফোন নম্বর এখন সকলের কাছে, তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই মিমির। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন। “‘মানুষের জন্য কাজ করতে নেমেছি। ৫০০ শতাংশ না দিলে হবে না। আর সেটাই দেব”।
রাজনীতির আঙিনায় সদ্য পা রাখা মিমি দলের নির্দেশেই কাজ করছেন। মিমি নির্দ্বিধায় জানালেন, “স্বীকার করছি, রাজনীতির আঙিনায় আমি এক্কেবারে নতুন। সবকিছু ঠিকঠাক জানি না। এখন শিখছি। দিদি সাহায্য করার জন্য অনেকেকে সঙ্গে দিয়েছেন। অরূপদা, শুভাশিসদা আছে। খুব হেল্প করছে। এবার শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা। নুসরত তো সব ডায়েরিতে লিখে রাখছে। জিজ্ঞেস করলে বলে, চিন্তা করিস না, সব বুঝিয়ে দেব”। গ্ল্যামার জগতের কেউ ভোটে দাঁড়ালেই প্রশ্ন আসে, কী ভাবে সবটা সামলাবেন? প্রচার, দল, কাজ, শ্যুটিং, কী ভাবে ম্যানেজ হবে সবটা? ওই সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন, “আমার বাড়ির আমন্ড মিল্ক আসা থেকে, ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া সব আমি একা হাতে করি। শ্যুটিং ফ্লোরে বিয়াল্লিশ ডিগ্রি টেম্পারেচারে ছুটোছুটি করতে হয়। সেই তুলনায় প্রচারের কাজ অনেক সোজা।” ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে টলিপাড়ায় পা রাখা এই নায়িকা বলেন, “সততা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আশাক করব মানুষ আমাকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেবেন।”