এবারের নির্বাচনের অন্যতম সেরা দুই চমক অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান। যাদবপুরের প্রার্থী মিমি এবং বসিরহাটে নুসরত। বসিরহাটের মানুষজন তাঁদের কেন্দ্রে তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রচার। সাধারণ মানুষ তাঁদের খুশিতেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা নুসরতের পাশে আছেন।
সবুজ আবির উড়ছে। দলের নেতা-কর্মীরাও একে অপরকে সবুজ আবির মাখাচ্ছেন। ঢাক বাজছে। সঙ্গে কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ। এমনকী, নিজেরা মিষ্টিমুখও করছেন। বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সমর্থনে বুধবার বাদুড়িয়ায় এমনই অভিনব প্রচার মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাদুড়িয়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান তুষার সিংহ বলেন, সাধারণ মানুষ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। তাই তিনি যে প্রার্থী ঠিক করেছেন তাঁর জয়ও নিশ্চিত। তাই এই এলাকার মানুষ উৎসবের মতোই মিছিলে যোগ দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বাদুড়িয়া, বসিরহাট দক্ষিণ, বসিরহাট উত্তর, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ ও হাড়োয়া মিলিয়ে সাতটি বিধানসভা রয়েছে। মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার পরই বেশিরভাগ জায়গাতেই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালের পুরসভার নির্বাচনে বাদুড়িয়া পুরসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাদুড়িয়া বিধানসভার উপর বিশেষ জোরও দিচ্ছে তৃণমূল। যাতে এবার এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বেশি পরিমাণ জয়ের মার্জিন তোলা যায়। তাই বাদুড়িয়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
বসিরহাটে নুসরতের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সবস্তরের নেতা–কর্মীরাই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শমীক রায় অধিকারি, শ্রমিক নেতা কৌশিক দত্ত, যুব তৃণমূল নেতা রানা দাসের নেতৃত্বে দেওয়াল লেখা চলছে বিভিন্ন এলাকায়। বসিরহাট শহরে ইতিমধ্যে মমতা–সহ প্রার্থী নুসরতের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। তৃণমূলের বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ফিরোজ কামাল গাজি, হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি এসকেন্দার গাজির নেতৃত্বে প্রচার শুরু হয়েছে। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর উদ্যোগে সন্দেশখালির দ্বীপগুলিতেও পুরোদমে প্রচার শুরু হয়ে গেছে।