‘ বিশ্ব ফুটবলে ক্ষণজন্মা, বিরল প্রতিভাসম্পন্ন ফুটবলারের আবির্ভাব ঘটেই চলেছে। সে ফুটবল সম্রাট পেলের কথায় বলুন, কিংবা কিংবদন্তি ডিয়োগো মারাদোনা, ব্রাজিলের রোনাল্ডো নাজারিও, লিওনেল মেসি অথবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এঁরা সবাই খুব অল্প বয়স থেকে ফুটবল দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। বড় মঞ্চে আবির্ভাবের প্রথম দিন থেকেই এঁরা মহাতারকা হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। ফুটবল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এঁরা লেজেন্ড মর্যাদা পেয়েছেন বা পাবেন। আর সেটা এক যুগেরও বেশি সময় দুরন্ত ফর্মে পারফর্ম করে। রিয়াল মাদ্রিদের ১৮ বছরের তরুণ ভিনিসিয়াস জুনিয়রও এমনই এক বিরল গোত্রের প্রতিভা। ওকে বাঁদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জায়গায় খেলানো হচ্ছে। অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন, ওকে প্রস্ফুটিত হতে সময় দিন।’— বক্তা তিনটি দলের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী প্রাক্তন ডাচ তারকা ক্লিয়ারেন্স সিডর্ফ।
এই মরশুমে প্রথম এল ক্লাসিকো’য় চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হন জুলেন লোপেতেগুই। তিনি ভিনিসিয়াসকে সিনিয়র টিমে তেমন সুযোগ না দিয়ে পাঠিয়ে দেন বি’ টিম ক্যাসটিলার হয়ে খেলতে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো সোলারি দায়িত্বে আসার পর নিয়মিত খেলার সুযোগ এসে যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সামনে। আর সেটা দারুণভাবে কাজে লাগায় এই ব্রাজিলিয়ান ‘বিস্ময় বালক’। এখনও পর্যন্ত চারটে গোল ও চারটে অ্যাসিস্টই তার প্রমাণ। সিডর্ফ জানান, ‘গোলের জন্য ভিনিসিয়াসের মুখাপেক্ষি হলে ওর ওপর চাপ বাড়বে। ওকে শান্তিতে খেলতে দেওয়া হোক। আমি ইদানিং ওর খেলা দেখে মুগ্ধ। তবে বিরল প্রতিভার অবক্ষয় আমি চোখের সামনে দেখেছি। যেমন ব্রাজিলিয়ান প্রতিভা ছিল আলেজান্দ্রো পাটো। কিন্তু পরে অসংযমী হয়ে পড়ায় ফর্ম ধরে রাখতে পারেনি। আশা করব, ভিনিসিয়াস ব্যতিক্রমী প্রতিভা হয়ে উঠবে। ওর দুরন্ত গতি, রানিং ডজ চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ওর খেলা দেখতেই আমি সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে যাব।’