রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। তারপর কেন্দ্রের মোদী সরকারের চূড়ান্ত উদাসীনতায় সেই কাজ থমকে আছে আজ ৫ বছর ধরে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল মোদী জমানায় বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার।
মমতার উদ্যোগেই ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজও দ্রুত শেষ হয়। এমনকী, নবদ্বীপে ভাগীরথীর ওপর রেলসেতুও তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তনের পর ২০১৪ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ আর এগোয়নি। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্পের কাজ এক রকম শিকেয় তোলা হয়েছে। তবে এই রেলপথ চালু হলে নবদ্বীপবাসীর খুবই উপকার হত। তাঁরা রেলপথে সরাসরি জেলা সদর কৃষ্ণনগর এবং রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় যেতে পারতেন।
প্রথম পর্যায়ে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শুরু হয়। সেই কাজ ২০১৪ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এমনকি নতুন আমঘাটা স্টেশনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে রেলপথে বৈদ্যুতিকরণের কাজ হয়নি। এছাড়া ভাগীরথী নদীর ওপর ৫৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর এই রেলপথের জন্য বরাদ্দ খুবই কমে যায়। কাজও এক রকম বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি এই রেলপথের জন্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নবদ্বীপের মহীশুড়াতে কিছু মানুষের বাধায় সেই কাজও বন্ধ। নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা সেখানে সভা করে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি।
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে বাংলাকে। তিনি কেন্দ্রের বিরোধীতা করেন বলেই এভাবে তার বদলা নিচ্ছে মোদী সরকার, এমন অভিযোগ করে বারবার সরবও হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিন দিন সেই বঞ্চনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।