দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বারবার ‘সব কা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর বুলি আউড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখে চোখ কপালে উঠেছে প্রত্যেকের। প্রকাশ্যে এল বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে মোদীর ভারতের করুণ পরিস্থিতি! ১২৭টি দেশের মধ্যে ভারত স্থান পেয়েছে ১০৫ নম্বরে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপালও ভারতের উপরে অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের ১৯তম বিশ্ব-ক্ষুধাসূচকের রিপোর্ট সামনে আসতেই ধরা পড়ে গিয়েছে মোদী সরকারের ভাঁওতা। ক্ষুধাসূচকের তালিকায় পাকিস্তান, আফগানিস্তানের উপরে থাকলেও পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার ও বাংলাদেশের নিচে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং ক্ষুধা নিবারণে এখনও পিছনের সারিতে দেশ। ২০২৩ সালে বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ১১১তম স্থানে ছিল ভারত। ভারতের প্রাপ্ত স্কোর ছিল ২৯.৩। সেই নিরিখে সামান্য উন্নতি ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তা যথার্থ নয়। দেশে ক্ষুধা নিবারণের সমস্যা এখনও বেশ উদ্বেগের।
প্রসঙ্গত, উচ্চতা অনুযায়ী ভারতীয় শিশুদের ওজন কম। হার ১৮.৭ শতাংশ। বয়স অনুযায়ী ভারতে শিশুদের খর্বাকৃতি হয়ে রয়ে যাওয়ার হার ৩৫.৫ শতাংশ, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ২.৯ শতাংশ এবং অপুষ্টির হার প্রায় ১৩.৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুক থেকে ক্ষুধা শূন্যে নামিয়ে আনার সংকল্প গৃহীত হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযানে মোদীর ভারত এখনও নিচের সারিতে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীর ১২৭টি দেশের মধ্যে ৪২টি দেশে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক। ভারত রয়েছে সেই উদ্বেগজনকের তালিকায়। এ-বছরের বিশ্ব-ক্ষুধাসূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল (৬৮), শ্রীলঙ্কা (৫৬), বাংলাদেশ (৮৪)। শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও তারা ভারতের তুলনায় ভাল অবস্থানে। পাকিস্তান রয়েছে ১০৯তম স্থানে, আফগানিস্তান ১১৬তম স্থানে। চীন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েতের মতো দেশ রয়েছে তালিকার একেবারে শীর্ষে।