বর্তমানে বন্যা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করছেন। সারছেন প্রশাসনিক বৈঠক। এর মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার কথায় মাথায় রেখে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ, সমস্ত জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সিভিল-ইলেক্ট্রিক্যাল ও আইটি আধিকারিকদেরও। সূত্রের খবর, রোগী পরিষেবা থেকে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এই মুহূর্তে ঠিক কোন পর্যায়ে, কতটা এগিয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কাজ, এসব একাধিক বিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার নবান্নে আলোচনায় বসতে চাইছেন মমতা।
উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে কড়া নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আন্দোলনকারী পড়ুয়া-ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে তৎপর রাজ্য। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মমতা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির উচ্চপদস্থ কর্তাদের কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর থাকবে সবার। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি ফোর্স রাখা হবে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে। মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। সেফ জোন তৈরি করে সিসিটিভি দিয়ে তা মুড়ে ফেলা হবে। স্থানীয় থানা কিংবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের যোগ থাকবে। সমস্ত কর্মরত মহিলার ফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক। যে কোনও এমার্জেন্সি সিচুয়েশনে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ডায়ালেরও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।