গত বছর এপ্রিলে মাইসুরুতে ‘প্রজেক্ট টাইগার’ প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে থেকে ৮০ লাখ টাকার বিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা এখনও পর্যন্ত মেটায়নি কেন্দ্র। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। তীব্র কটাক্ষ করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঙ্গালুরুর মাইসুরুর একটি বিলাসবহুল হোটেলে ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়নের জন্যই জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষকে ওই বিল পাঠিয়েছিল কর্নাটকের মাইসুরুর সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার হোটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ জুনের মধ্যে বিল না পেলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিলে মাইসুরুতে ‘প্রজেক্ট টাইগার’ প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদী। সে সময় বিধানসভা ভোটের কারণে কর্ণাটকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকায় রাজ্য সরকার আয়োজকের তালিকায় থাকতে পারেনি। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক গোটা বিষয়টি আয়োজন করেছিল।
ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মাইসুরুর ওই বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল, পুরো অনুষ্ঠানের জন্য তিন কোটি টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু, আদতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ। ঠিক ছিল, রাজ্য তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা দেবে। বাকি টাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষকে দেবে।
সেই মতো রাজ্যের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু, তারা জানিয়ে দেয় বকেয়া ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা মেটাতে হবে কর্ণাটক সরকারকেই। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ট্যাগ করে তৃণমূল লিখেছে, ‘আরে হাম তো ফকির আদমি হ্যায়, ঝোলা লেকে চল পরেঙ্গে জি।’ তারপরই লেখা হয়, ‘ফকির আদমির হোটেল বিল ৮০ লাখ টাকা। ঠিক এভাবেই ফকির আদমির জীবনযাত্রার জন্য করদাতাদের লুট করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’