নাম না করেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির্ময় পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। বাংলার প্রথম শ্রেনীর একটি দৈনিক সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তিনি মঠ ছেড়ে চলে না গেলে ওই মঠ ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েচেহ আসমদ্রুহিমাচল। মোদী ও বিজেপি রাজের বিরুদ্ধে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর এই ক্ষোভের নেপথ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া অন্ধ্রপ্রদেশের গো-সেবক শিবকুমারের মনোনয়ন দাখিলের ঘটনা।
এই অবস্থায় বিরুদ্ধে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীন জানিয়েছেন, ‘দেশে এখন প্রকৃত হিন্দুত্ব দরকার। ১০ বছর সরকারে থাকার পরও যিনি গো-হত্যা বন্ধে আইন করতে পারেননি, তিনি রাজনৈতিক হিন্দু। যারা সত্যি বলে, উনি তাদেরও বিরোধিতা করেন।’ এই ‘উনি’ যে নরেন্দ্র মোদি সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের।
ঠিক কী জানিয়েছেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী? তাঁর দাবি, ‘এবার বারাণসীতে অন্ধ্রপ্রদেশের গো-সেবক শিবকুমার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি গো-মাতা জোটের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের অনুমোদিত প্রার্থী। আর এখন কি না বারাণসীর মেয়র তাঁর সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছেন! প্রস্তাবকদের সরিয়ে দিয়ে গো-সেবক শিবকুমারের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে বিজেপি। গো-মাতাকে রক্ষা করতে দেশের অনেক জায়গায় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ বারাণসীতেই এই হাল কেন? পাঁচ মাস আগেই বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো বড় দলগুলিকে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার শপথ নিতে বলা হয়েছিল। কেউ তাতে গা করেনি। আমি কোনও দলের বিপক্ষে নই। বিজেপি জিতলে বা হারলে আমাদের কিছু যায় আসে না। রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা চাই গো-হত্যা বিরোধী আইন। অথচ আমাকেই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন একজন ভুয়ো শঙ্করাচার্যকে খাড়া করা হচ্ছে, যিনি গো-মাতা রক্ষার কাজে নিযুক্তই নন! গণতন্ত্র নেই দেশে। আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম হয়েছে।’