গরিব বলে কি তাঁর ইজ্জত নেই? মেয়েটি কি বিচার পাবে না? সংবিধানের রক্ষাকবচ রয়েছে বলে কি রাজ্যপাল যা খুশি করে যাবেন? সংবিধান কি লেখা আছে, দায়িত্বপালনের নামে রাজ্যপাল তাঁর অধস্তন মহিলা কর্মীদের ওপর যৌন নিপীড়ন করতে পারেন?
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই প্রশ্নগুলি তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য নেত্রী শশী পাঁজা।
শশী বলেন, “রাজ্যপালের চেয়ারের একটা গরিমা থাকে। উনি সেই চেয়ারের সম্মানকে নষ্ট করলেন। চেয়ারের সুযোগ নিয়ে উনি নোংরা কাজ করবেন, আর আইনি ব্য়বস্থা নেওয়া যাবে না, এটা বাংলা বরদাস্ত করবে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।”
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতিও দাবি করেছেন শশী। ঘটনাচক্রে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনে রাত্রিবাস করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার বর্ধমানের সভা থেকেও .তিনি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। শশী বলেন, “এ ব্য়াপারে প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? তাহলে কি মণিপুরের মতো এক্ষেত্রেও মোদীর সমর্থন রয়েছে?”
শশী আরও বলেন, “একবার ভাবুন, যিনি অপরাধ করলেন, তিনি প্রতিবাদীদের দমিয়ে দিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর প্রবেশ নিষেধের কথা বলছেন! কতটা ঔদ্ধত্য থাকলে তবে মানুষ এটা করতে পারে!”