লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। এর আগেই বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দুই রাজ্যের নেতাদের কপালে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এবার হরিয়ানায় ৫টি এবং রাজস্থানে ৬টি আসনে লড়াই বেশ কঠিন হতে পারে পদ্ম শিবিরের জন্য।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই জিতেছিল বিজেপি। এদিকে রাজস্থানের ২৫টি আসনের মধ্যে ২৪টিতে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। রাজস্থানের বাকি একটি আসন জিতেছিলেন হনুমান বেনিওয়াল। তিনি অবশ্য এখন এনডিএ-তে নেই। তবে গতবার তিনি এনডিএ-র প্রার্থী হিসেবেই জিতেছিলেন। সেই অর্থে, এই দুই রাজ্যে এনডিএ ক্লিন সুইপ করেছিল। আর এবারের ৩৭০-এর টার্গেট ছুঁতে গেলেও ক্লিনসুইপ প্রয়োজন।
তবে এই দুই রাজ্যে নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় নাকি বলা হচ্ছে, হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে রোহতক, সোনিপত, সিরসা, হিসার এবং কর্নাল এবং রাজস্থানের বারমের, চুরু, নাগৌর, দৌসা, টঙ্ক এবং করৌলি লোকসভা আসনগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরা কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে পারে।
এদিকে কেন এই আসনগুলিতে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে পারে বিজেপি? হরিয়ানার ক্ষেত্রে দাবি করা হচ্ছে, জাট ভোটের একাংশ বিজেপি থেকে দূরে সরতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সেই রাজ্যের পাঁচটি আসনে বিজেপির লড়াই ‘কঠিন’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলন, অগ্নিপথ নিয়ে ক্ষোভের মতো ইস্যুর জেরেই জাট ভোটের একাংশ বিজেপি থেকে দূরে সরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সমীক্ষায়।
এদিকে রাজস্থানের ৬টি আসনে বিজেপি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায়। তার মধ্যে অন্যতম হল নাগৌর। এই আসনেই গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন হনুমান বেনিওয়াল। এবার বিজেপি এই আসনে জ্যোতি মৃধাকে প্রার্থী করেছে। এদিকে করৌলি আসনে জাটভ জনজাতির বেশ প্রভাব আছে। ঐতিহাসিক ভাবে এই জাটভরা কংগ্রেসকেই ভোট দেয়। তবে এই প্রথমবার এই সংরক্ষিত আসনে একজন জাটভ প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস থেকে জাটভ ভোট ভাঙানোর চেষ্টায় আছে পদ্ম শিবির।