‘মোদী না দিদি, কার গ্য়ারান্টি নেবেন? পাশে থাকা দিদি, নাকি দূরে থাকা মোদী’? ধূপগুড়িতে ভোটের প্রচারে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, আপনার বুকে হাত রেখে বলুন, জয়ন্ত রায়কে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে, এক বুক আশা আকাঙ্খা নিয়ে। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল জয়ন্ত রায়। ৫ শতাংশ মানুষের আশা আকাঙ্খা পূর্ণ হয়েছে’?
ধূপগুড়ির জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘জলপাইগুড়ির কোনও মায়ের জন্য়, ভাইয়ের জন্য় ন্যূনতম কোন উন্নয়নের পরিষেবা, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য পাঠিয়েছে। তৃণমূল বলেছিল ধূপগুড়ি মহকুমা হবে, হয়েছে কিনা। আমরা কথা দিয়েছিলাম ২০২১ সালে পরিবারের একজনকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব, এখন পরিবারের সব মায়েরা লক্ষ্মী ভাণ্ডার পাচ্ছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পের বিনামূল্য রেশন পাচ্ছেন। একশো দিনের শ্রমিক, টাকা বন্ধ ছিল ২ বছর ধরে, দেওয়ার কথা ছিল মোদীজির। ২ বছর ধরে দেয়নি। আমাদের সরকার দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সবাই টাকা পেয়েছেন। পেয়েছেন কিনা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ টাকা ছিল, এপ্রিল মাসে থেকে ৫০০ টাকায় জায়গায় মাসে ১ হাজার পাচ্ছেন’।
সম্প্রতি বিধ্বংসী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে দিয়েছিল জলপাইগুড়ি। অভিষেক বলেন, ‘জলপাইগুড়ি যখন বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ের কারণে, পাশে ময়নাগুড়ি ব্লক, বার্নিশ পঞ্চায়েত, প্রায় ক্ষতবিক্ষত, ২ হাজার ৩ হাজার বাড়িতে মাটিকে মিশে গিয়েছে। রাত্রিবেলা কে ছুটে এল? নরেন্দ্র মোদী না মমতা বন্দ্য়োাধ্যায়’? সঙ্গে বার্তা, ‘আপনার হাতের দৃঢ়তা নিয়েই তারা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সাংসদ হয়ে বাংলার টাকা বন্ধ করেছে। সেই কাগুজে বাঘগুলিকে নেংটি ইঁদুরে পরিণত করার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না’।