লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, নিত্যনতুন সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে। এবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার আবার নির্বাচিত হবেন কিনা, তা নিয়ে ঘোর সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সংগঠনের নেতা অরূপ চক্রবর্তীকে। তার উপর গোঁজ প্রার্থী কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সুভাষের পথে। বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ নির্দল হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা যিনি গ্রহণ করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন তিনিই। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় সুভাষ সরকারের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে গোঁজ-সমস্যা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনার সভা থেকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানান একদা বিজেপিতে থাকা কিছু নেতা-কর্মী। আর তার মূল ভূমিকায় দেখা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলার নেতা জীবন চক্রবর্তী। “নির্দল প্রার্থী হয়ে আমাকে দেখতে চাইছেন বিজেপির বহু কার্যকর্তা। লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ালে সুভাষের থেকে একটি ভোট হলেও বেশি পাব। উনি তো দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়তে চলেছি। দল যদি এখনও সুভাষের বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী না করে তাহলে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকব,” জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে বাঁকুড়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে ঘেরাও হতে হয়েছিল এই জেলাতেই। তার মধ্যে এবার উঠে এল গোঁজ কাঁটা। তবে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সুভাষ সরকার বলেন, “ভোট এলে অনেকের লড়াই করার ইচ্ছে হয়। নির্দল প্রার্থী হয়ে কেউ চাইলে দাঁড়াতেই পারেন। তবে এই ভোট দেশের ভোট। দেশের সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকেই দেখতে চাইছেন। তাই মোদীজির পক্ষেই ভোট হবে। ব্যবধান আগের চেয়েও বাড়বে। কে নির্দলে দাঁড়াল তাতে কিছু যায় আসে না।” জিতে সংসদে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মানুষজন। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সুভাষ সরকারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। “সুভাষবাবুকে নিয়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ অসন্তুষ্ট। ওঁদের দলের লোকজনও ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন?”, বক্তব্য তাঁর।