ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২ জনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে স্নায়ুযুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যেখানে প্রথম দফায় রাজ্যের ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না গেরুয়া শিবির। তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পর দুই সপ্তাহ হতে চলল— দ্বিতীয় দফার তালিকা আসেনি তাদের। আসলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্তরে চরম মতানৈক্য চলছে। পরিস্থিতি এমনই যে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেও বাংলার প্রার্থী জটিলতা কাটাতে ব্যর্থ হয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে হাজির বঙ্গনেতারা একমত না হওয়ায় একাধিক আসনে দুজন অথবা তিনজনের নাম রয়েছে। শেষপর্যন্ত কাকে প্রার্থী করা হবে তা বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তাই বৃহস্পতিবারের আগে বাংলার বাকি ২৩ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা অনিশ্চিত।
তবে যেহেতু বুধবার থেকে প্রথম দফার মনোনয়ন শুরু হচ্ছে তাই দ্রুত জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে পারে। বাকি ২১ আসনে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ভারত সফর সেরে ফেরার পরই জাতীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে নাম চূড়ান্ত হবে বলে সূত্রের খবর। ২৩ আসনে প্রার্থীদের নামের পাশে সিলমোহর দিতে সোমবার রাতে বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শাহরা। কিন্তু তারপরেও তালিকা চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রের খবর। দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, দমদম, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর ও আসানসোল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দলের জাতীয় নির্বাচন কমিটির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। যেমন দার্জিলিংয়ে এক প্রাক্তন আমলাকে প্রার্থী করার পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। অন্যদিকে, রাজ্য নেতৃত্বে চাইছে রাজু বিস্তাকেই ফের প্রার্থী করতে। আবার, মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ। তাঁরা চাইছেন, তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে কোনও সেলিব্রিটি মহিলাকে দাঁড় করাতে।