প্রবল অস্বস্তিতে পড়ল গেরুয়াশিবির। সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের বাতিল করা আটটি ভোটই বৈধ, এমনই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মেয়র নির্বাচনের পুনর্গণনা করারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পুনর্গণনার সময় কারচুপিতে অভিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসারের বাতিল করা আটটি ব্যালট পেপারকেও গোনা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বিপাকে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির। আটটি ভোট বিরোধী আপ এবং কংগ্রেসের অনুকূলে গেলে চণ্ডীগড়ের মেয়র পদে পরাজিত হতে হবে বিজেপিকে। গত কয়েক দিনে রাজনৈতিক ওঠাপড়াও হয়েছে বিস্তর। রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন আপের তিন কাউন্সিলর। তার কিছু আগেই পদত্যাগ করেন বিজেপির মেয়র মনোজ সোনকর। তাই এই পরিস্থিতিতে চণ্ডীগড় পুরনিগমে শক্তির নিরিখে কারা এগিয়ে, তা নিয়ে রয়েছে খানিক সংশয়। গত ৩০শে জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। বিজেপিকে রুখতে ওই নির্বাচনে যৌথ ভাবে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ। পুরপ্রতিনিধিদের ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ সিংহ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্য দিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে জোটপ্রার্থী কুলদীপ সিংহের পাওয়া ৮টি ভোটকে প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহা বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, ৩৫ সদস্যের চণ্ডীগড় পুরনিগমে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিজেপির ১৪ জন কাউন্সিলর ছিলেন। অন্য দিকে আপ এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৩ এবং ৭। এই নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়তে নেমেছিল আপ এবং কংগ্রেস। গত ৩০ জানুয়ারি মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোটপ্রার্থী কুলদীপ সিংহ পান ২০টি। অন্য দিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে জোটপ্রার্থীর পাওয়া আটটি ভোট বাতিল করা হয়। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে জিতেও ‘হেরে’ যেতে হয় হয় জোটকে। তার পরই ভিডিও প্রকাশ করে আপের তরফে দাবি করা হয়, ব্যালট পেপারে কাটাকুটি করে গণনায় কারচুপি করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল। সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মঙ্গলবারই ভোটের কাজে ব্যবহৃত সমস্ত ব্যালট পেপার আদালতে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতে পেশ করতে হবে ভোটগণনার সময়ে তোলা ভিডিও ফুটেজও। সেই মতোই সেগুলি আদালতে হাজির করানো হয়। তার পরই পুনর্গণনার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।