রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই আমজনতার জন্য একাধিক সামাজিক ও জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালক্রমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলি। এই প্রকল্পগুলির সুবাদে বাংলায় দিন দিন কমছে দারিদ্র্য। রাজ্য বাজেটে উঠে এসেছে, বর্তমানে বাংলায় দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের হার কমে ৮.৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কারণেই রাজ্যে গরিব মানুষের সংখ্যা কমছে। রাজ্য সরকার বিগত এক দশকে মানুষের সামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু হয়েছে। সামাজিক প্রকল্পের জেরে নিশ্চিত হয়েছে প্রান্তিক মানুষের হাতে পর্যাপ্ত নগদের জোগান।
অতিসম্প্রতিই বাজেট বক্তৃত্বায় রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবিকার সংস্থান করেছে রাজ্য সরকার। খোদ কেন্দ্রের নীতি আয়োগও এই তথ্য দিয়েছে। পৃথিবীর তাবড় অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মানুষের হাতে নগদের জোগান বাড়াতে হবে। বাংলার সরকার সেই পথেই হেঁটেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ নারী ক্ষমতায়নের অন্যান্য প্রকল্প চালু হওয়ায় ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন বাংলার মহিলারা। অর্থ-প্রতিমন্ত্রী জানান, নারী ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলায় চলতি অর্থ বছরের বাজেটের ৪৪ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শিশুদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ শতাংশ। ২০২৪-২৫-র বাজেটে ‘জেন্ডার অ্যান্ড চাইল্ড বাজেট স্টেটমেন্ট’ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।