ইডি বা সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে ‘রাজনৈতিক’ কাজ করে চলার অভিযোগ হামেশাই তোলে তৃণমূল-সহ দেশের বিরোধী দলগুলি। এ বার সিএজি (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া)-র দিকেও একই অভিযোগে আঙুল তুলল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
২০০২-০৩ সাল থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত যে রিপোর্ট নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তর্কবিতর্ক অব্যাহত, তাতে এ বার সিএজিকেও বিঁধল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, ‘বিজেপির কথাতে রাজনৈতিক ইস্যু’ তৈরি করছে সিএজি। আর তাকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। বাম জমানার দায় বর্তমান সরকার নেবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ডেরেক বলেন, ‘বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় আর্থিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে। কারণ তারা রাজনৈতিক ভাবেই এই রাজ্যের বিরোধী।’ কাকলি বলেন, ‘গরিবদের পেটে লাথি মেরেছে মোদী সরকার। তবে বাংলায় এ সব চলবে না।’ কেন্দ্র না-দিলে রাজ্যই ‘বঞ্চিত’ মানুষদের বকেয়া টাকা দেবে বলে মমতা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে প্রণামও জানিয়েছেন কাকলি।
কুণালের দাবি, সিএজির এই রিপোর্ট নিয়ে কুৎসা করছে বিরোধীরা। তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে সিএজি। কুণাল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অনুদান কতটা ব্যবহার হয়েছে, তার শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) নিয়ম মেনে কেন্দ্রের হাতে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সিএজি এমন কিছু কথা বলছে, যার ‘অপব্যবহার’ করছে বিরোধীরা। তাঁর কথায়, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সিএজি এমন কিছু কথা বলছে, এমন ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যাতে বিরোধীরা কুৎসা, অপব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।’ এ সবের নেপথ্যে বিজেপির ইন্ধনও দেখেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘আশা করব, সিএজি এই ধরনের কিছু বিভ্রান্তিকর লেখার থেকে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার থেকে, বিজেপির কথায় রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে দেওয়ার দলিল তৈরি থেকে বিরত থাকবে।’