বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা কোচবিহার হয়ে ঢুকবে বাংলায়। অথচ কংগ্রেসের তরফে তা জানানোই হয়নি তৃণমূলকে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় যে আসছেন, ইন্ডিয়ার জোট সঙ্গী হিসাবে কি আমাদের জানিয়েছেন যে দিদি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি? আমাদের কিছু জানানো হয়নি’।
তবে এদিন রাহুলের নাম মুখে আনেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। জোট কারও একার নয়। আঞ্চলিক দলগুলো সব একসঙ্গে থাকব’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘জোটের ব্যাপারে আমি প্রথম দিন যা প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা ওরা প্রত্যাখ্যান করেছে। তখনই আমার দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলায় আমরা একা লড়ব’। মমতার কথায়, ‘ওরা (কংগ্রেস) ৩০০ আসনে লড়ুন। বাকি আসনে আঞ্চলিক দলগুলির ব্যাপারে যেন হস্তক্ষেপ না করে’।
কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নে মমতা গোড়া থেকেই বলছেন, দুটোর বেশি আসন ছাড়া যাবে না। সেই দুই আসন হল বহরমপুর ও মালদহ দক্ষিণ। এই দুই আসন ইতিমধ্যে কংগ্রেসের দখলেই রয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে অধীর চৌধুরীরা বলেছেন, জোট সম্মানজনক শর্তে হোক। কংগ্রেসকে কম করে ৬ থেকে ৮টি আসন ছাড়তে হবে।
এই অবস্থায় এতদিন এতটা পষ্টাপষ্টি মমতা কখনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই তাঁর সুর বেশ চড়া দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে মমতা বলেন, কংগ্রেস আটটা, দশটা, বারোটা আসন চাইছে। এভাবে জোট হবে না। বাংলায় সব আসনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিন।
এখন কৌতূহলের বিষয় হল, বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী হবে? তৃণমূল কি জোটে থাকবে না? সে ব্যাপারে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। সর্বভারতীয় স্তরে আমরা কী করব না করব তা ভোটের পর ভাবব। কিন্তু এখন কোনও চর্চা নেই। ভুল কথা’।