মোদীর সঙ্গে হিটলারের তুলনা টানলেন শরদ পাওয়ার। পাওয়ারের অভিযোগ, জার্মানিতে হিটলার যে ভাবে মিথ্যা ও আগ্রাসী প্রচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন, সেই একই কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মিথ্যে ও আগ্রাসী প্রচার করছে বিজেপি।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় এনসিপি-র এক সম্মেলনে পওয়ার বলেন, ‘‘বিজেপি এখন ক্ষমতায়। তারা একটা আগ্রাসী প্রচার ব্যবস্থা তৈরি করেছে। জার্মানিতে হিটলারের প্রচার ব্যবস্থার সঙ্গে যার তুলনা চলতে পারে। হতে পারে মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০০টিরও বেশি আসনকে নিশানা করে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু দেশের আসল পরিস্থিতি তাদের পক্ষে নেই। কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, দিল্লি, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে তারা ক্ষমতায় নেই।’
তাঁর কথায়, ‘মোদী ভারতবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করবেন দেশকে। কিন্তু তার পঞ্চাশ শতাংশও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী খালি গ্যারান্টি দেন। কিন্তু তা পূরণ হয় না।’ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কথার প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, ‘গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পিছনে রয়েছে যুব সমাজের হতাশা এবং বেকারত্ব।’
মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইডি-র তল্লাশির মুখে পড়েছেন পাওয়ারের নাতি তথা আহমেদনগরের কারজাদ-জমখেড় কেন্দ্রের বিধায়ক রোহিত পাওয়ার। একটি টাকা নয়ছয়ের মামলায় শুক্রবার পওয়ারের খাসতালুক বারামতী-সহ একাধিক জায়গায় টানা তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এনসিপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মোদীর সমালোচনা করা হয়েছে বলেই পাওয়ারের পরিবারকে হেনস্থা করতে ইডি-কে আসরে নামানো হয়েছে। মোদীর আমলে ইডি শুধু মাত্র বিরোধীদের হেনস্থা করার একটি সংস্থায় পরিণত হয়েছে।