বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি চত্বরে আইআইটি-র ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে যে ৩ জনকে ঘটনার প্রায় দুই মাস পর গ্রেফতার করেছে যোগীর পুলিশ, তাঁদের মধ্যে দুজন বিজেপির আইটি সেলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ওই ৩ যুবকেরই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে এখনও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। তাঁর অভিযোগ, গণধর্ষণে দলের আইটি সেলের কর্মীরা যুক্ত বলেই মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার শশী পাঁজা বলেন, ২ নভেম্বরের ওই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যে মেয়েটির ওপর অত্যাচার হয়েছে, সেই মেয়েটি পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন আইআইটিতে। তিনি কালপ্রিটদের নাম বলে দেওয়ার পরও তাদের ধরতে দু-মাস সময় লাগল পুলিশের! এই হল ডাবল ইঞ্জিন যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। গ্রেফতারের পরই স্পষ্ট হয়ে গেল, কেন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অভিযুক্তদের ধরতে এত সময় লাগল! যারা এই কুকীর্তিটি ঘটিয়েছে, তারা বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে যুক্ত, তাই গড়মসি যোগী রাজ্যের পুলিশের।
শশীর দাবি, উত্তরপ্রদেশে মহিলারা আদৌ সুরক্ষিত নন। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। তিনি বলেন, এত বড় একটা ঘটনার পরও বিজেপি মুখে কুলুপ এঁটেছে। অমিত-মালব্য তো বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বে আছেন। তিনি সুযোগ পেলেই তো তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধীদের সম্পর্কে বলতে শুরু করেন, টুইট করেন। এখন নিজের দলের কর্মীরা ধরা পড়ার পর তিনি চুপ কেন? তাঁর প্রশ্ন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই এলাকার সাংসদ। প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রেও মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে। তারপরও বিজেপি একটি কথাও বলবে না?
শশীর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে অথচ বিজেপির ভ্রুক্ষেপ নেই। মন্ত্রী অভিযোগ করেন, অদ্ভুতভাবে জাতীয় মহিলা কমিশনও এই বিষয়ে নীরব। যেহেতু বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাই তারা স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে আর এগিয়ে আসছে না। অথচ পান থেকে চুন খসলেই বাংলা-সহ অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ছুটে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। আর ডাবল ইঞ্জিন যোগী-রাজ্যে প্রমাণিত বিজেপি সদস্যদের কীর্তি, তবুও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তাঁরা।