স্বস্তির খবর এএসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নিয়োগ জট কাটার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার শিক্ষা দফতরের কর্তাদের নিয়ে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দু’তরফের আলোচনা শেষে এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, “বৈঠক ফলপ্রসূ। আইনি ব্যবস্থার মধ্যেই রাজ্য সরকার দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি যাব।” মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মেধার নিরিখে যারা নিয়োগের যোগ্য তাঁদের বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। গত শনিবার গান্ধীমূর্তির সামনে নবম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে যান কুণাল ঘোষ। শনিবার ছিল মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার হাজারতম দিন। উল্লেখ্য, শনিবার মঞ্চে প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা তথা চাকরি প্রার্থী রাসমণি পাত্র মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। বিকেলে ওই মঞ্চে ছুটে গিয়েছিলেন কুণাল। কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। শনিবারই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়, সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য।
উল্লেখ্য, সোমবারের পর ফের শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের কর্তারা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। এদিনের বৈঠকে চাকরি প্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষও। সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতি ইতিমধ্যে প্রমাণিত, তাই যোগ্যপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবি ওঠে বৈঠকে। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জানান শিক্ষা দফতরের কর্তারাও। সূত্রের খবর, যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধিন তাই আইনি পথেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ জট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতরকম মামলা সংক্রান্ত জটিলতা, তাতে ওইভাবে দিনক্ষণ পাঁজি ধরে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে চাকরিপ্রার্থীরা একটা সম্ভাব্য তারিখ জানতে চেয়েছিলেন। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নতুন করে আর কোনও আইনি জটিলতা তৈরি না হলে আশা করছি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি শেষ হতে পারে”, বৈঠক শেষে জানিয়েছেন কুণাল।