একটি মামলার সূত্রে তাঁকে চলতি মাসেই পর পর দু’বার তলব করে সিআইডি। ওই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে। এবার তাঁর যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, প্রতাপকে কোনও রকম মানসিক হেনস্থা করা হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করা আছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতিতে সিআইডির দাবি, প্রতাপকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সময়মতো চা এবং জল খেতে দেওয়া হয়েছে। যখন তিনি চেয়েছেন, সময় দেওয়া হয়েছে ধূমপানের জন্যও।
প্রসঙ্গত, প্রতাপ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখানোর জন্য চাপ দিয়েছে সিআইডি। নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। সে সব ব্যাখ্যা করে তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেন। তার পর একই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রতাপের ওই চিঠির পর বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিল সিআইডি। তারা জানিয়েছে, সিআইডির এক দল তদন্তকারী আধিকারিক প্রতাপকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। তাঁকে টানা বসিয়ে রেখে প্রশ্ন করা হয়নি। পর্যাপ্ত বিরতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যথাসম্ভব ভাল ব্যবহার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা, জানিয়েছে সিআইডি। গোটা প্রক্রিয়াটি রেকর্ড করা আছে সিসি ক্যামেরায়।
সিআইডির আরও দাবি, বিধাননগর দক্ষিণ থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যার ভিত্তিতে প্রতাপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, শুধু সেই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নই তাঁকে করা হয়েছিল। প্রতাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে, এমন প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আধিকারিকেরা। তদন্তের স্বার্থে বিচারপতি সিংহের স্বামীকে ১৮ ডিসেম্বর মোবাইল ফোন জমা দিতে বলেছে সিআইডি। ২২ ডিসেম্বর আবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। সিআইডির দাবি, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা এও জানিয়েছে, যে গত ১ ডিসেম্বর এবং ১৬ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতাপকে তলব করা হয়েছিল। দু’বারই তিনি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরি করে হাজিরা দিয়েছেন। তবে দেরি হওয়ার কোনও বার্তা আগে থেকে পৌঁছে দেননি সিআইডি দফতরে।