ফের প্রকাশ্যে এল বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের বেহাল পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ই ডিসেম্বর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উত্তরবঙ্গে আসতে চলেছেন। ১২ই ডিসেম্বরই শিলিগুড়িতে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সভা করার কথা ঘোষণা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু রাজনৈতিক সভা করে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা দেওয়ার মতো শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন কার্যত নেই। কাজেই গায়ের জোরে সভা করলে ফাঁকা মাঠে সভা করতে হবে। তাতে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে পদ্মশিবির।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির উত্তরবঙ্গের এক নেতা বলেন, প্রকাশ্য সভা করলে মুখ পুড়বে বুঝতে পেরেই এখন ইন্ডোরে সাংগঠনিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। মুখরক্ষা করতে গেলে এছাড়া পথ ছিল না। কিন্তু, ইন্ডোর সভা করতে গিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে দলের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করার মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। দলীয় সূত্রে খবর, কোনও ভবন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিয়ের জন্য বড় সব ভবন আগে থেকেই বুকড হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখন বিজেপির ভরসা রেলের কোনও অডিটোরিয়াম না হলে বিলাসবহুল কোনও হোটেল। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের দিন শিলিগুড়িতে ইন্ডোর সভা করা নিয়ে বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দিয়েছে। পদ্ম শিবিরের একটি অংশ চাইছে, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ১২ই ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে রাস্তায় ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হোক। আর একটি অংশ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য এক্ষেত্রে ধর্নায় বসার ঝুঁকির পথে হাঁটতে চাইছে না বিজেপি।