ফের জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ল মোদী সরকার। এবার সময়মতো আধার কার্ড সংযোগ না হওয়ায় দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি নাগরিকের প্যান কার্ড বাতিল করল কেন্দ্র। এক আরটিআই-এর জবাবে এই তথ্য জানাল আয়কর বিভাগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে প্রবল অসন্তোষ। গত ৩০শে জুন ছিল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড সংযুক্তিকরণের শেষ দিন। যদিও সেটাও নিখরচায় হচ্ছিল না। আধার ও প্যানের সংযুক্তিকরণের জন্য মোটা টাকা খসাতে হচ্ছিল আম নাগরিককে। এরই মধ্যে শোনা যায়, সংযুক্তিকরণের মেয়াদ ফের বাড়াতে চলেছে আয়কর বিভাগ। কিন্তু তা আর হল না। তথ্যের অধিকার কর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়ের করা প্রশ্নের জবাবে আয়কর বিভাগ জানাল, সময়সীমা পেরোনোর পরও প্রায় ১২ কোটি প্যান কার্ডের আধার সংযোগ হয়নি। এর মধ্যে বাতিল করা হয়েছে সাড়ে ১১ কোটি প্যান কার্ড।
প্রসঙ্গত, আয়কর বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ৭০ কোটি ২৪ লক্ষ নাগরিকের প্যান কার্ড ছিল। তবে আধারের সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ২৫ লক্ষ প্যান কার্ডের। আয়কর বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১লা জুলাই থেকে যে সব প্যান কার্ড করা হয়েছে, সেখানে শুরু থেকেই আধার নম্বর জানানো বাধ্যতামূলক ছিল। তার আগে তৈরি প্যান কার্ডের মধ্যে যেগুলিতে আধার সংযোগ হয়নি সেগুলি বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ প্যানের সঙ্গে যদি আধার সংযোগ না হয়ে থাকে, তাহলে প্যান কার্ডটিও বাতিল হতে পারে। যদিও ওই প্যান কার্ড পুনরায় চালু করা যাবে ।সেজন্য ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। নতুন প্যান কার্ড বানাতে যেখানে জিএসটি ছাড়া ৯১ টাকা খরচ হয়, সেখানে প্যান কার্ড পুনরায় চালু করার খরচ এত বেশি কেন, তা নিয়ে ঘনীভূত সংশয়। যে সব নাগরিকের প্যান কার্ড বাতিল হল, তাঁরা আয়কর দেবেন কীভাবে? প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে।