চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নিজেদের রণনীতি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। গত সেপ্টেম্বর মাসেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে শাসক দল। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ রায় এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু বিধায়কের মৃত্যুর পর মাত্র আড়াই বছরেই সেই আসন ছিনিয়ে এনেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে এই ধূপগুড়ি মডেলকেই তৃণমূল সামনে রাখতে চায় বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মত।
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়িতে বিজেপির হাতে থাকা আসন যেমন ছিনিয়ে এনেছে তারা, সঙ্গে জোট ইন্ডিয়ার পক্ষেও বাংলার মানুষ তাদেরই বিকল্প শক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মনে করছে তারা। এই উপনির্বাচন সে দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই ভোটে মাত্র ১৩ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন সিপিএম-কংগ্রেসের জোটপ্রার্থী। সেই সময় জোট ইন্ডিয়ার শরিক হয়েও, বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বাংলার শাসকদল। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল নিয়েই লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে চায় তারা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘ধূপগুড়ির ফলাফল নিশ্চিত আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিজেপির আসন জিতে আমরা প্রমাণ করে দিয়েছিলাম যে বিজেপিকে আমরাই হারাতে পারি। সঙ্গে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ভোট নিজেদের দিকে টেনেও আমরা বুঝিয়েছি যে বাংলায় জোট ইন্ডিয়ার হয়ে বিজেপিকে হারাতে পারি আমরাই।’ তৃণমূল নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের মাস খানেক আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সেই ভোট ৬ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। অর্থাৎ ভোটাররা বুঝে গিয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে কাকে ভোট দেওয়া উচিত।