যদি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়, তাহলে শুভেন্দু নয় কেন? তাঁর বিরুদ্ধে তো সারদা, কাঁথি পুরসভায় আর্থিক তছরূপের একাধিক মামলা রয়েছে। এবার এক্স হ্যান্ডলে ইডি-সিবিআইয়ের প্রতি এমনই প্রশ্ন তুললেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার একাধিক আর্থিক দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ সামনে এনে বরাবরই সরব হয়েছে তৃণমূল। শ্মশানের টেন্ডার নিয়ে আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তির উঠেছিল শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অঙ্ক ছিল কমবেশি দেড় কোটি টাকা। তিনি সেসময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে তদন্তের আওতায়ও পড়েছিলেন সৌমেন্দু। তৃণমূলের অভিযোগ, এর নেপথ্যে শুভেন্দুর মদত রয়েছে। তা নিয়েই ফের প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।
এক্স হ্যান্ডলে ইডি-সিবিআইয়ের উদ্দেশে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আপনারা কেন সারদার নথি নিয়ে নীরব? কাঁথি পুরসভা, সারদা এবং অধিকারীদের দুর্নীতির একইসঙ্গে জড়িত। আদালতও এসব নথি-সহ সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগপত্র পৌঁছে দিয়েছে। তার পরও কেন চুপ সিবিআই? শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।’ গতকাল দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেও একই বিষয় নিয়ে সরব হন কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিজেপি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে ইডিকে দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেপ্তার করাল। মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে এই কাজ। বিজেপি দেখতে পাচ্ছে, বাংলায় জমি ক্রমশ হারাচ্ছে। গতকালও কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আজ এখানে পুজো কার্নিভ্যাল। সামনে লক্ষ্মীপুজো। এই সময় বিজেপি আবারও এজেন্সি পলিটিক্স শুরু করল।’
কুণালের আরও প্রশ্ন, ‘রেশনে খারাপ জিনিস দেওয়া হয়েছে, এমন কখনও কোনও অভিযোগ উঠেছে? বিনামূল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সবাইকে রেশন দেন। সেই রেশন দুর্নীতির অভিযোগ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হল। অথচ সারদা কাণ্ডে এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কি দেখতে পাচ্ছে না ইডি, সিবিআই?’ উল্লেখ্য, শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে ইডি।