বৃষ্টির দাপট থেকে আপাতত রেহাই পেয়েছে বাংলা। এখন আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার। শনিবার মহালয়া। আবহাওয়া দফতর বলছে, মহালয়ায় আকাশ পরিষ্কারই থাকবে। দক্ষিণে কমবে জলীয় বাষ্প। উত্তরের ৫ জেলায় হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। প্রতিপদ থেকে বৃষ্টি কমবে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে। এছাড়াও রায়েলসীমা এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরো ২টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় ঢুকবে আগামিকাল। বর্ষা বিদায় রেখা রক্সৌল ডালটনগঞ্জ বিজাপুরের উপর দিয়ে গিয়েছে। বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, কর্ণাটকের আরো কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নেবে আগামী ২৪ ঘন্টায়। আগামী দুদিনের মধ্যে বাংলা ও উড়িষ্যা থেকেও শুরু হবে বর্ষা-বিদায় পর্ব। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ২-১ জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে আগামী কয়েক দিনে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে এবং বৃষ্টিও কমে যাবে উত্তরবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গে মহালয়ার দিন শনিবার মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। দু-এক জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ আরো ৪৮ ঘন্টা বেশি থাকবে। তারপর কমবে। তার আগে জলীয় বাষ্প কিছুটা বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে । দক্ষিণা বাতাসের জায়গায় পুবের বাতাস ও উত্তরে বাতাস প্রভাব বিস্তার করবে। কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বহাল থাকবে আরও ৪৮ ঘন্টা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে তার পর থেকে। কলকাতায় কাল রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি । গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৮ থেকে ৯১ শতাংশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা।