হাতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত তিনশো আসনে সহজেই রফা করে নেওয়া সম্ভব। যে সব রাজ্যে কংগ্রেসের একাধিপত্য (মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, রাজস্থানের মতো রাজ্য) এবং যেখানে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলের জোট রয়েছে (মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, বিহারের মতো রাজ্য)— এই দুই ‘শ্রেণি’র রাজ্যে আর দেরি না করে অবিলম্বে আসন সমঝোতা করে নেওয়া হোক। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে পরিস্থিতি কিছুটা জটিল কারণ এই রাজ্যগুলিতে ইন্ডিয়া-ভুক্ত দলগুলি একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র আসন সমঝোতার প্রশ্নে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ ভাবেই বার্তা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। আজ রাজনৈতিক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। তৃণমূলই শুধু নয়, এই একই বক্তব্য জেডিইউ, আরজেডি এবং আপ-এরও।
গত মাসে দিল্লিতে ইন্ডিয়ার সমন্বয়কারী কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছিল, আসন সমঝোতার কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং সে ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের কোনও কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকবে না। অর্থাৎ যে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের যে দল শক্তিশালী, তাদের উদ্যোগী হতে হবে সেখানকার বিজেপি-বিরোধী অন্য দলগুলির সঙ্গে এক টেবিলে বসে আসন রফা করার। গত তিন সপ্তাহে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি আওয়াজ তোলা হচ্ছে আসন সমঝোতা দ্রুত শেষ করার জন্য। ইন্ডিয়ার মুম্বই বৈঠকের পরই উপস্থিত তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেছিলেন ‘আমরা প্রথমে চেয়েছিলাম, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন রফার বিষয়টি চুকিয়ে ফেলে ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তার পরে বিষয়টি ১৫ অক্টোবর হয়ে অক্টোবরের শেষে পৌঁছেছে। কিন্তু এর পরে আর দেরি করা যাবে না’।