বাংলার প্রতি মোদী সরকারের ক্রমাগত বঞ্চনাপ্রবণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই দৃঢ়তর আন্দোলনের পথে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজভবনের সামনে ধর্নাও চালাচ্ছে তারা। শনিবার একশো দিনের কাজের প্রকল্পের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন হলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। তাঁর অভিযোগ, ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাকি ৬৯০৭ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে টাকা বন্ধ করতে হয়, কিন্তু কেন্দ্র পদ্ধতি না মেনেই তা বন্ধ করেছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। পরে ২০২২ সালের মার্চে সেই ধারা প্রয়োগ করে তারা। “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা করেনি কেন্দ্র। জব কার্ড থাকা প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবিকায় ধাক্কা দিয়েছে”, বক্তব্য অমিতের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাস ও একশো দিনের কাজের প্রকল্প খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। তাদের সব রিপোর্ট অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজ্যকে এফআইআর করার সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র। অমিতের দাবি, “ওরা চ্যালেঞ্জ করলে ওদেরই তা প্রমাণ করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, ৫ই অক্টোবর তামিলনাড়ু, কেরল, তেলঙ্গনা, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং এ রাজ্যে খাদ্যমন্ত্রীর বাসভবনে একসঙ্গে হানা দিয়েছে ইডি। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নথিভুক্তি থমকে রয়েছে। ২০ হাজার এনজিও-র লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। উল্টো দিকে আরএসএস-এর প্রভাবিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি কী ভাবে বিদেশি অনুদান পাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।