রাজ্যের কাস্ট সেন্সাস বা জাতিগত গণনার ফল প্রকাশ করে জাতীয় রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে বিহারের নীতীশ কুমার সরকার। সোমবার প্রকাশিত সেই ফলাফলে জানা গিয়েছে, বিহারে ১৩ কোটি জনসংখ্যার ৬৩ ভাগই অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত। এরমধ্যে ৩৬ শতাংশ অতি পিছড়া বা এক্সট্রিম ব্যকওয়ার্ড শ্রেণি ভুক্ত। পশ্চাৎপদ বা ব্যাকওয়ার্ড ২৭.১ শতাংশ। আর এরপরেই রাহুল গান্ধী দাবি তুলেছেন, এবার গোটা দেশে জাতিগত গণনা হোক। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির দাবি, দেশে জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ওবিসি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বিহার সরকারকে সাধুবাদ দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসই দেশে জাতি গণনায় পথিকৃৎ। ২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ গোটা দেশে আর্থ সামাজিক সমীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই সমীক্ষাতেই জানা গিয়েছিল দেশে কোন জাতি জনসংখ্যার কতভাগ এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে তারা কোন স্তরে অবস্থান করছে। কিন্তু মোদী সরকার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। ফলে নতুন করে জাতি গণনার দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক সরকার ইতিমধ্যে জাতি গণনার কথা ঘোষণা করেছে। হাত শিবির তাদের উদয়পুর ঘোষণাতেই জানিয়েছিল, ক্ষমতায় ফিরে দল সারা দেশেই জাতি গণনা করাবে।