একাধিক মামলায় অভিযুক্ত কিংবা জেল খেটেছেন— এমন রাজনৈতিক নেতারা যাতে ভোটে লড়তে না পারেন সেজন্য মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। তাতেই ‘অ্যামিকাস কিউরি’ তথা নিরপেক্ষ উপদেষ্টা বিজয় হংসারিয়া রিপোর্ট পেশ করে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, যেখানে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের চাকরি চলে যায়, সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে ভোটে দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকে মাত্র ৬ বছরের। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান আইন অনুসারে যদি কোনও ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে ২ বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন, তাহলে রায়দানের পরই তিনি আর জনপ্রতিনিধি থাকতে পারবেন না। ছাড়া পাওয়ার ৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। এই আইনেই এবার পরিবর্তন হতে পারে। হংসারিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি যদি নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তিনি চাকরি খোয়াবেন। কিন্তু রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্য। এই নিয়ম আইনের সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী বলেই দাবি।