ট্রেন চলাকালীনই ঘটল বিপত্তি। মালগাড়ি থেকে আচমকাই খুলে গেল বগি। আজ, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়। এর জেরে গুরুতর কিছু না ঘটলেও বেশ কিছুক্ষণ রেল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে মালগাড়িটি। এদিন ফারাক্কা ব্যারেজের উপরে রেললাইনে উঠতেই এই বিড়ম্বনা ঘটে। তড়িঘড়ি রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে খুলে যাওয়া বগিগুলি মালগাড়ির যুক্ত করে দিলে আবার ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ আচমকা মালগাড়ির বগি খুলে যায়। পিছনের দিকের তিনটি বগি মালগাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মূলত কাপলিং খুলে যাওয়ার ফলেই এই বিপত্তি ঘটে। মালগাড়িটি মালদহের দিকে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানে তাঁরা সমস্যা পরীক্ষা করে দেখার পর মালগাড়ির বগিগুলি সংযুক্ত করেন। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মালগাড়িটি সেখান থেকে রওনা দেয়। এই ঘটনার জেরে ওই লাইনে সাময়িক রেল চলাচল ব্যাহত হয়। পরে মালগাড়িটির বগিগুলি সংযুক্ত করা হলে রেল চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে মালগাড়িটি চলার সময় আচমকা তিনটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে মালগাড়ি কিছুটা দূরে গিয়ে থামে। এদিকে, ইঞ্জিন ছাড়া বগি তিনটিও লাইন ধরে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল আশঙ্কা স্থানীয়দের। তবে খবর পেয়েই রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন। তাঁরা বগি তিনটি মাল গাড়ির সঙ্গে জুড়ে দেন। তখন মালগাড়িটি আবার চলতে শুরু করে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা ব্যারেজের উপর মালবাহী একটি ট্রাক রেললাইনের ওপর উঠে পড়েছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল ওই ট্রাক। সেটি প্রথমে নিয়ন্ত্রক হারিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা মারে। এরপর ফারাক্কা ব্রিজের গার্ডারে গিয়ে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। সেই সময় তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস মালদহ থেকে নয় ফারাক্কা স্টেশনে আসছিল। দুই যাত্রী আহত হয়েছিলেন। পরে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায়। যদিও এই ঘটনায় বড় রকমের কোন বিপত্তি ঘটেনি। তারই মধ্যে ফের এবার খুলে গেল মালগাড়ির বগি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।