অগস্টের শেষ পনেরো দিনে এক হাজার সভা করার টার্গেট নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বলা হয়েছিল, দলের এক হাজার সাংগঠনিক মণ্ডলে একটি করে সভা হবে। পাশাপাশি রাজ্যে দশটি বাছাই এলাকায় হবে বড় সভা, এছাড়াও তিনটি মেগা সভা হবে। অগস্ট পেরিয়ে আজ ৭ সেপ্টেম্বর, কিন্তু কোথায় কী? সাংগঠনিক ব্যর্থতার জেরে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও রাজ্যজুড়ে ১ হাজার সভার সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারল না বঙ্গ বিজেপি। সংগঠনের ব্যর্থতা ঢাকতে হাজার সভা করতে না পারার জন্য ‘বৃষ্টি’কেই দায়ী করল তারা।
জানা গিয়েছে, হাজার সভার টার্গেট পূরণ না হওয়ার জন্য দিল্লির নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা দিতে ‘বৃষ্টি’র ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর এই আশ্চর্য যুক্তিতে চরম ক্ষুব্ধ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সূত্রের খবর, গত রবিবার সল্টলেক কার্যালয়ে বৈঠকে এক হাজারটি মণ্ডল এলাকায় ১ হাজার সভার পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হল, তা নিয়ে রাজ্য নেতাদের জিজ্ঞেস করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। দেখা যায়, টার্গেট পূরণ তো দূর অস্ত, তিরিশ শতাংশের মতো সভা হয়েছে, অর্থাৎ ৩০০টির মতো সভা করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে, শেষ সময়সীমা ছিল ৩১ আগস্ট। তখন রাজ্য নেতাদের তরফে বলা হয়, প্রচুর বৃষ্টির কারণেই সমস্ত সভা করা যায়নি। এছাড়া, ধূপগুড়ির উপনির্বাচনও ছিল বলে যুক্তি দেয় বঙ্গ শাখা। জানা গিয়েছে, এই যুক্তিকে কার্যত হাস্যকর বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই বাধ্য হয়ে বাকি ৭০০-র মতো সভা শেষ করার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। তবে সেপ্টেম্বরেও এই টার্গেট পূরণ করা যাবে কী না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।